শুক্রবার, ৪ঠা জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শুক্রবার, ৪ঠা জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শুক্রবার, ৪ঠা জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৮ই মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

চট্টগ্রামে পিস্তল ঠেকিয়ে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ইটভাটার ম্যানেজার গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিককে অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি ও মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কাঞ্চন তুড়ি (৩০) নামে ইটভাটার ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করেছে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীর হাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কাঞ্চন তুড়ি (৩০) এবিসি নামক ইটভাটার ম্যানেজার। ঘটনার দিন মামলার ৩ নং আসামি কাঞ্চন তুড়ি ও ৪ নং আসামি কামরান অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে সাংবাদিক আবু আজাদকে ঘিরে ফেলেন। পরে ইউপি সদস্য মোহনকে সহযোগিতা করে অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে ফেলেন।

এর আগে সোমবার বিকেলে ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এর স্টাফ করেসপন্ডেট সাংবাদিক আবু আজাদ বাদি হয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৭ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টা, মারধর, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়া, অপহরণ এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী (৫৫), ইউপি সদস্য মহিন উদ্দিন তালুকদার মোহন (৪০), মোহনের সঙ্গী কামরান (৩০।

এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খাঁন নূরুল ইসলাম বলেন, মামলার ৩ নং আসামি কাঞ্চন তুড়িকে উপজেলার ঠান্ডাছড়ি এলাকা থেকে রাত পৌনে ১২টায় আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।

প্রসঙ্গত, গত রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে রাঙ্গুনিয়ার ইসলামপুরে অবৈধ ইটভাটার সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে ভাটার ছবি তুললে স্থানীয় ইউপি সদস্য মহিউদ্দীন তালুকদার মোহনসহ ৫-৬ জন পিস্তল ঠেকিয়ে সাংবাদিক আবু আজাদকে মারধর করেন।

অস্ত্রের মুখে মোহন তাকে গাড়িতে তুলে স্থানীয় মঘাছড়ি বাজারে নিয়ে কয়েক দফা পেটায় তারা। এরপর মোহনের কার্যালয়ে বেঁধে রেখে আবু আজাদকে নির্যাতন করা হয়। তার মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলা হয়। মানিব্যাগ ও আইডি কার্ড, এটিএম কার্ড কেড়ে নেয়, সঙ্গে থাকা ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। জোরপূর্বক পাসওয়ার্ড জেনে নিয়ে বিকাশ ও নগদ চেক করে টাকা না পেয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে সন্ত্রাসীরা।

এক পর্যায়ে মোহনের মুঠোফোন ব্যবহার করে আবু আজাদের সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কথাও বলেন। এরপর সাংবাদিক আবু আজাদের পকেটে মোহন নিজের ভিজিটিং কার্ড ঢুকিয়ে দিয়ে ক্ষমতা থাকলে কিছু করতে বলে হুঙ্কার দেয়।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print