প্রভাতী ডেস্ক: আওয়ামী লীগের ২২ তম জাতীয় কাউন্সিল আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হবে। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশের প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ নিয়মিত বিরতিতে তাদের সম্মেলন করে আসছে। টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় দলটির প্রতি বাংলাদেশের মানুষের যেমন আশা-আকাঙ্ক্ষা বাড়ছে তেমনি দেশের মানুষের জন্য তাদের দায়-দায়িত্বও বাড়ছে।
এমন এক সময়ে এবার আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে যখন দলটির সরকার ক্ষমতায় কিন্তু দেশ সত্যিকার অর্থেই কিছু সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সংকটটা প্রকট চেহারা নিয়ে সামনে রয়েছে। তবে রাজনৈতিক সংকট নিয়েও এই মুহূর্তে ভাবতে হচ্ছে দলটিকে।
সারা দেশের তৃণমূল নেতাকর্মীদের দৃষ্টি আজকের সম্মেলনের দিকে। এই দৃষ্টি যেমন নতুন নেতৃত্বের জন্য তেমনি নতুন দিক নির্দেশনার জন্যও। দলের প্রধান শেখ হাসিনা আজ সারা দেশ থেকে আসা নেতাকর্মীদের জন্য ভবিষ্যতের পথরেখা দেবেন বলে আশা করছেন সবাই। বিশেষ করে এক বছর পরে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনের জন্য এখন থেকে কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে তার দিক-নির্দেশনা দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি- এমনটা প্রত্যাশা করছেন তারা। বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে কিংবা তাদের কোনো ষড়যন্ত্র বা বেআইনি পদক্ষেপ স্থানীয়ভাবে কীভাবে মোকাবিলা করবে তৃণমূল তার নির্দেশনাও আজ দিতে পারেন দলীয় প্রধান।
সম্মেলনে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় তুলে ধরা হবে। সম্মেলনে বড় প্রশ্ন আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক কে হবেন? স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য ‘স্মার্ট’ দলের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তিটি কি নতুন কেউ হবেন, নাকি গত দুইবারের মতো আরেকবার উচ্চারিত হবে ওবায়দুল কাদেরের নাম? সম্মেলন ঘিরে সপ্তাহ দুয়েক যে আলোচনা এবং যে ‘নীরবতা’ এক ধরনের (সম্পাদক পদ নিয়ে) তাতে বাতাসের প্রকৃত বার্তা পরিষ্কার নয়। সম্মেলনেই বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার অপেক্ষার অবসান হবে। তবে এ কয়দিনে নতুন কোনো নাম জোরালোভাবে কানে আসেনি, দেয়ালে প্রতিধ্বনিও শোনা যায়নি।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, নির্বাচনের আগে ঝুঁকি বাড়াতে চাইছেন না দলের নীতি নির্ধারকেরা। দলের সাধারণ সম্পাদকের এ ঘোষণার মধ্যদিয়ে যে আভাস বেরিয়ে এলো, তা হচ্ছে- নয়া কমিটিতে বর্তমান সাধারণ সম্পাদকই বলবৎ থাকছেন। অর্থাৎ, ওবায়দুল কাদেরই হচ্ছেন পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক। এ পদে টানা তিনবার দায়িত্ব পালনের সুযোগের মধ্যদিয়ে তিনি আওয়ামী লীগে হ্যাট্রিক সাধারণ সম্পাদকের গৌরবের অধিকারী হতে পারেন।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সমাবেশস্থল পৃথকভাবে পরিদর্শক করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.