প্রভাতী ডেস্ক : মায়ের জানাজাতে হাতকড়া আর ডান্ডাবেড়ি নিয়ে অংশগ্রহণ করেন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আলী আজম। ঘটনাটি মুহুর্তের মধ্যে এলাকাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মনে করেন, জানাজার সময় তার হাতকড়া-ডাণ্ডাবেড়ি খুলে দিলে ভালো হতো।
আলী আজমের মা সাহেরা বেগম বার্ধক্যজনিত কারণে গত রোববার বিকেলে মৃত্যুবরণ করেন। মায়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে নিজ বাড়ি কালিয়াকৈরের পাবুরিয়াচালা এলাকায় জানাজায় উপস্থিত হন আলী আজম।
স্বজনরা জানান, শেষবার মাকে দেখতে ও মায়ের জানাজা নিজে পড়াতে আইনজীবীর মাধ্যমে গত সোমবার বিকেলে গাজীপুর জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন আলী আজম। কিন্তু ওইদিন দাপ্তরিক কাজ শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবার তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি মেলে তার।
এ ঘটনা তুলে ধরে একজন সাংবাদিক তথ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, জানাজার সময় হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি থাকার ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের বক্তব্য, সরকার এতটা ‘অমানবিক’ না হলেও পারতো।
জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি বিষয়টি চেক করেছি। আমি গাজীপুরের পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। ডান্ডাবেড়ি বা হাতকড়া পড়ানো না পড়ানো হচ্ছে জেল প্রশাসনের কাজ। সেটি আবার পুলিশের অধীনে নয় এবং একজন আইজিপি প্রিজন আছেন সেই প্রশাসনের অধীনে। আমাদের পুলিশের যে মহাপরিদর্শক, তাদের অধীনে নয়। ডাণ্ডাবেড়ি কিংবা হাতকড়া জেল প্রশাসনই পড়ায়। আমি বিষয়টি চেক করেছি, তাকে প্যারোলে কয়েক ঘণ্টার জন্য মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে কয়েকজন জঙ্গি পালিয়ে গেছে। তাদের বিষয়ে যেভাবে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার ছিল, সেটি করা হয়নি বিধায় তদন্তে উঠে এসেছে তারা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এজন্য তারা (গাজীপুরে) অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করেছেন।
আমি এসপি পর্যায়েও কথা বলেছি, তারা বিষয়টি জানতেন না। যারা বিএনপি নেতাকে কেরি (বহন) করে এনেছিল, শুধু তারাই জানতেন; অন্যরা কেউ জানতেন না। তবে আমি মনে করি যে জানাজার সময় তার ডান্ডাবেড়ি এবং হাতকড়া খুলে দিলে ভালো হতো।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.