নিজস্ব প্রতিবেদক: চাম্বল রুহজান বিবি জামে মসজিদের (চাম্বল বাজার জামে মসজিদ) সাবেক খতিব ও রঙ্গীয়াঘোনা মনছুরীয়া ফাজিল মাদ্রাসার (অব:) সিনিয়র শিক্ষক অসংখ্য আলেমের ওস্তাদ জনাব মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেবের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ১৩ ই ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বাদ আছর চাম্বল মাদ্রাসার মাঠে মরহুমের জনাযার নামাজ অনুষ্টিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন মরহুমের ভায়রাভাই বাঁশখালীর সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম পীরে কামেল মাওলানা ইসহাক হুজুর সাহেব (মজিঃ)। জানাযা শেষে মরহুমের অছিয়ত মতে চাম্বল বাজার জামে মসজিদের কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন এই মহান আলেম। যেই মসজিদে তিনি প্রায় ৪০ বছর ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আমৃত্যু সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। নিজ এলাকায় তাঁর নামে প্রতিষ্ঠা করা হয় ইমাম আব্দুল মালেক সাহেব জামে মসজিদ।
মরহুমের জানাযায় মানুষের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মত। উনার অনেক ছাত্র ও সহকর্মী দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন তাঁদের প্রিয় আলেমের শেষ বিদায়ে। জানাযায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব মাওলানা জহিরুল ইসলাম, ১০ নং চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মুজিবুল হক চৌধুরীসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জানাযা পূর্ববর্তী সংক্ষিপ্ত আলোচনায় মাওলানা জহিরুল ইসলাম বলেন, মরহুম আব্দুল মালেক সাহেব সারাজীবন দ্বীনের পথে ছিলেন এবং দ্বীনের খেদমত করেছেন। তিনি হলেন ওস্তাদুল আসাতেজা, বাঁশখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় উনার হাতে গড়া অনেক আলেম রয়েছেন যাদের মধ্যে তিনি বেঁচে থাকবেন। যদিও উনার মত একজন আলেমের অভাব কখনো পূরণ হবে না।
চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী বলেন, দুনিয়াতে মানুষরূপে আল্লাহর কিছু অলি থাকেন। আব্দুল মালেক সাহেব এসব মানুষরূপী আল্লাহর অলীদের একজন বলে আমি মনে করি । তিনি ছিলেন আমাদের চাম্বলের আলো, তাঁর মৃত্যুতে আমাদের এলাকা অনেকটা অন্ধকার হয়ে গেছে সেটাই বলা যায়।
তিনি মঙ্গলবার ভোর ৫ টায় চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হসপিটালে চিকিৎসাধীন ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ পুত্র এবং ৪ কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমের বড় ও মেজ ছেলে সৌদি প্রবাসী এবং ছোট ছেলে ইসলামি ব্যাংক কর্মকর্তা।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.