আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কাতার বিশ্বকাপের বর্ণিল উদ্বোধনী হয়ে গেল।বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ৯টায় কাতারের আল বাইত স্টেডিয়ামে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। কাতারের রাজধানী দোহা থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামটি ৬০,০০০ দর্শক ধারণে সক্ষম।
'গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের' সঙ্গে মানানসই এক জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্বাগতিক কাতার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চ মাতান বিশ্বের অনেক নামকরা গায়করা।
বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা গাজী টিভি, টি-স্পোর্টস ও টফি লাইভ অ্যাপে সরাসরি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উদ্বোধনী ম্যাচে অংশ নেয় স্বাগতিক কাতার-ইকুয়েডর।
ইতিহাসে কখনও প্রথম ম্যাচে হারেনি স্বাগতিক দল:
বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে কখনও প্রথম ম্যাচে হারেনি স্বাগতিক দল। কাতার বিশ্বকাপে প্রথম ঘটলো এই ঘটনা। উদ্বোধনী ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ২-০ গোলে হারলো স্বাগতিকরা। দুটো গোলই করেছেন এনার ভ্যালেন্সিয়া। আল বায়াত স্টেডিয়ামে রাত ১০টায় শুরু হওয়া ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই গোলপোস্টে বল ঢুকিয়ে দেন ইকুয়েডরের ভ্যালেন্সিয়া। তবে ভিএআর (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি) তা নাকচ করে দেন। একের পর এক আক্রমণে প্রবল চাপ ধরে রাখে ইকুয়েডর।
ম্যাচের ১৫ মিনিটে পেনাল্টি পায় ইকুয়েডর। ভ্যালেন্সিয়া কাতারের বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন। কিন্তু সেই সময়ে গোলরক্ষক তাকে অবৈধভাবে আটকান। পেনাল্টি পায় ইকুয়েডর। এবার বল জালে জড়াতে ভুল করেননি ভ্যালেন্সিয়া।
ম্যাচের ৩১ মিনিটে আবারো গোল পায় ইকুয়েডর। এবারও গোলদাতা ভ্যালেন্সিয়া। তিনি প্রিসিয়াদোর শটে বল হেড করে পোস্টে ঢুকিয়ে দেন। তার দুর্দান্ত হেডার ইকুয়েডরকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেয়। এই ব্যবধানে বিরতিতে যায় উভয় দল।
বিরতির পর অবশ্য গোল শোধের বেশ চেষ্টা করে স্বাগতিকরা। যদিও শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি তারা। উভয় দল আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ করলেও দ্বিতীয়ার্ধে গেলের দেখা পায়নি কেউই। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইকুয়েডর।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.