প্রভাতী ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং–পরবর্তী জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা–সহায়তা চালাতে ১৭টি জাহাজ, ২টি মেরিটাইম প্যাট্রল এয়ারক্রাফট (এমপিএ) ও ২টি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রেখেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। চট্টগ্রাম, খুলনা ও মোংলা নৌ অঞ্চলে এগুলো মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি পরিস্থিতি সামাল দিতে নৌ কন্টিনজেন্ট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সোমবার(২৪ অক্টোবর) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের পর কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন ও টেকনাফে প্রথম ধাপে উদ্ধারকাজের জন্য বানৌজা সমুদ্র অভিযান নিয়োজিত থাকবে। কুতুবদিয়া ও বহির্নোঙর এলাকায় উদ্ধারকাজ চালাবে বানৌজা পদ্মা।
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা সংলগ্ন এলাকায় বানৌজা হাতিয়া ও এলসিটি ১০৩ মোতায়েন থাকবে। এছাড়া পটুয়াখালী এলাকায় এলসিভিপি–১১ এবং পিরোজপুর ও বরগুনা এলাকায় এলসিভিপি–১২ নিয়োজিত থাকবে।
বানৌজা স্বাধীনতা, প্রত্যাশা, প্রত্যয়, ধলেশ্বরী ও নির্মূল খুলনা এবং মোংলায় অনুসন্ধান ও উদ্ধারের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের পাগলায় বানৌজা অদম্য, অতন্দ্র, দুর্ধর্ষ, দুর্দান্ত ও ধানসিঁড়িকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়–পরবর্তী দুর্গত এলাকাগুলোয় জরুরি চিকিৎসা–সহায়তায় থাকবে নৌবাহিনীর বিশেষ মেডিকেল টিম। জরুরি ওষুধ, স্যালাইন ও অন্যান্য সামগ্রী বিনা মূল্যে দেওয়া হবে। ঝড়ের তীব্রতা ও আঘাতের প্রকোপ পর্যবেক্ষণের পর দ্বিতীয় ধাপে নৌবাহিনীর অতিরিক্ত জাহাজ ও কন্টিনজেন্টগুলো মোতায়েন করা হবে।
এদিকে দূর্যোগ পরবর্তী সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পর্যাপ্ত পরিমাণ বিভিন্ন বিমান ও হেলিকপ্টার। যার মাধ্যমে দেয়া হবে ত্রাণ সরবরাহ, চিকিৎসা। করা হবে যাবতীয় উদ্ধার কাজও।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর)।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সার্বক্ষণিক দুর্যোগ মোকাবেলার এবং তদসম্পর্কিত যেকোন তথ্য সংগ্রহ ও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার লক্ষ্যে বিমান বাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশারে ১টি কেন্দ্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
দ্রুত ও নির্বিঘ্ন যোগাযোগের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে দিন রাত-২৪ ঘণ্টা বিমান বাহিনীর সদস্যগণ কর্তব্য পালন করছেন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র ছাড়াও বিমান বাহিনীর প্রতিটি ঘাঁটিতে নিজ নিজ এলাকার দুর্যোগ মোকাবেলার লক্ষ্যে আলাদা আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধানের নির্দেশনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সকল সদস্য ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী যেকোন দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং জনসাধারণের সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.