
প্রভাতী ডেস্ক : ‘মিথ্যা’ তথ্য প্রচারের অভিযোগে এবার বাবুল আক্তারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা। মামলায় আসামিরা হচ্ছে, বাবুল আক্তার, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সাবেক সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন, বাবুল আক্তারের ভাই হাবিবুর রহমান লাবু ও তাঁর বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া।
মিতু হত্যা মামলা নিয়ে ‘মিথ্যা’ তথ্য প্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে গত সোমবার খুলশী থানায় এ মামলা করেন পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার। বুধবার (১৯ অক্টোবর) মামলার বিষয়টি জানাজানি হয়। বুধবার রাতে পিবিআই চট্টগ্রামের (মেট্রো) পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, ‘মামলায় পিবিআই প্রধানের মামলার মতোই অভিযোগ আনা হয়। চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করা হয়।’
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাবুল আকতারসহ অন্য আসামিরা মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করছেন। এর অংশ হিসেবে ইলিয়াস হোসেনকে দিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে ফেসবুক ও ইউটিউবে ডকুমেন্টারি ভিডিও প্রচার করছেন। ভিডিওতে যে বক্তব্য রয়েছে তার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
সম্প্রতি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সাবেক সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত সেই ভিডিওতে বনজ কুমার মজুমদার ছাড়াও নাইমা সুলতানার বিরুদ্ধেও নানান অভিযোগ আনা হয়।
ইলিয়াসের ভিডিওটি প্রকাশের পরই বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন বাবুল আক্তার। এই মামলার পর কারাগারে বাবুল আক্তারের সেলে পুলিশ তল্লাশি করে বলেও অভিযোগ করা হয়। তবে দুটি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এর আগে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারও একইভাবে ওই চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।