প্রভাতী ডেস্ক : হজ কিংবা ওমরাহ পালনের সময় নারীদের সঙ্গে মাহরাম (রক্তের সম্পর্কের পুরুষ আত্মীয় বা অভিভাবক) থাকার বাধ্যবাধকতা তুলে নিয়েছে সৌদি আরব। গত সোমবার(১০ অক্টোবর) মিসরের কায়রোতে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক আল-রাবিয়াহ।
বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে নারীরা মাহরাম ছাড়াই সৌদি আরব গিয়ে হজ বা ওমরাহ পালন করতে পারবেন বলে জানান আল-রাবিয়াহ। আরব গেজেটের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। সৌদি আরবে হজ বা ওমরাহ পালনের সময় নারীদের সঙ্গে মাহরাম থাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। অবশেষে কায়রোতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে হজ-ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী রাবিয়াহ এ বিতর্কের অবসান ঘটালেন।
হজ বা ওমরাহ পালনের ক্ষেত্রে বিশ্বের কোনো দেশের জন্য কোনো কোটা বা সংখ্যা নির্ধারিত নয় বলে জানান ড. তাওফিক আল-রাবিয়াহ। তিনি বলেন, ‘যেকোনো দেশের যেকোনো মুসলিম যেকোনো ভিসা নিয়ে এসে হজ করতে পারবেন।’ হজ ও ওমরাহ পালনের খরচ কমানোর বিষয়ে সৌদি সরকারের আগ্রহ রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি অনেক কিছুর সঙ্গে সম্পৃক্ত। অবশ্য এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে।
আল-রাবিয়াহ বলেন, সৌদি আরবের পবিত্র দুই মসজিদে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার যুক্ত করেছে সরকার। কোনো কোনো সময় রোবটের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হয়। নুসুক নামের একটি প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে খুব কম সময়ে ওমরাহর অনুমতি পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাওয়া যায় ভিসা।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.