প্রভাতী ডেস্ক : করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘এক্সই’ ওমিক্রনের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি সংক্রামক বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
নতুন এ ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের এই এক্সই ভ্যারিয়েন্টটি ওমিক্রনের বিএ.২ উপপ্রজাতির তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, ওমিক্রন রূপের বিএ.১ এবং বিএ.২ উপপ্রজাতির সংমিশ্রণের ফলেই মিউটেশন এক্সই ধরনটি সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে বিএসএমএমইউয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির ২৭১তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সতর্কবার্তা দেন।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে চীনের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক নগরী সাংহাইয়ের করোনা পরিস্থিতি। লকডাউন দিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। হংকং-তাইওয়ানের অবস্থাও তেমন ভালো না। চিকিৎসক হিসেবে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারতে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট এক্সই। মুম্বাইয়ের একজনের শরীরে কোভিড-১৯ এর নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সভায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা অংশ নেন।
এসময় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের কোষাধ্যক্ষ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুল রশীদ ভূঁইয়া, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার, শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ডব্লিউএইচও একাধিক লক্ষণকে এক্সই এর উপসর্গ বলে চিহ্নিত করেছে। সেগুলো হলো-
১। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর
২। আকস্মিক ছোঁয়াচে কাশি
৩। স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতিতে বদল
৪। শ্বাসকষ্ট
৫। ক্লান্তি
৬। গা-হাত-পায়ে ব্যথা
৭। মাথা যন্ত্রণা
৮। গলা ব্যথা
৯। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া কিংবা নাক দিয়ে অবিরাম পানি পড়া
১০। ক্ষুধা কমে যাওয়া
১১। ডায়েরিয়া
১২। বমি বমি ভাব।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.