নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশে হাহাকার চলছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত- এই সরকারের অধীনে কেউই শান্তিতে ও নিরাপদে নেই। চট্টগ্রামে কোতোয়ালি থানা বিএনপির উদ্যোগে দরিদ্রদের মধ্যে ইফতার ও সেহরি সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন ।

বুধবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানা বিএনপির উদ্যোগে ৮টি ওয়ার্ডে দরিদ্রদের মধ্যে ইফতার ও সেহরি সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

বিএনপির এ নেতা বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই। দেশে চলছে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা। বিরোধীদল আজ কথা বলতে পারে না। কথা বলার স্বাধীনতা নেই। এই সরকার বিরোধী মতকে দমন করার জন্য প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। বিরোধীদল যখনই রাস্তায় নামে তখনই সরকারি প্রশাসন লাঠিচার্জ করে।

তিনি বলেন, এখন জনগণের কল্যাণে লিফলেট পর্যন্ত বিতরণ করতে দিচ্ছে না। আজ সকালে ঢাকায় আমরা দেখলাম সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার পুত্র তরুণ রাজনীতিবিদ ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন যখন লিফলেট বিতরণ করছিলেন, তখন তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই সরকার একটি ফ্যাসিস্ট সরকার। তারা একজন ইশরাককেও ভয় পায়। ভয় পায় বলেই তারা ইশরাককে গ্রেফতার করেছে।

এসময় ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের গ্রেফতারের নিন্দা জানান ডা. শাহাদাত। সমাবেশ থেকে তিনি ইশরাক হোসেনের মুক্তি দাবি করেন।

ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, বিএনপি জনগণের দল। জনগণের কল্যাণে আমরা রাজনীতি করি। দেশের এমন বেহাল দশাতে বিএনপি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন উপেক্ষা করে আমরা জনগণের পাশে থাকবো। আমরা প্রতিদিন কোনো না কোনো ওয়ার্ডে অসহায় দরিদ্রদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এই সরকার জনগণের টুঁটি চেপে ধরেছে। কেউ এই সরকারের সমালোচনা করলে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এই সরকার মামলাবাজ সরকার। এ মামলাবাজ সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত বিদায় না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এদেশের মানুষের জুলুম-নির্যাতন শেষ হবে না।

চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি আলহাজ মঞ্জুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আব্দুল মান্নান, সদস্য গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, কামরুল ইসলাম, নগর বিএনপির সাবেক সহ-সম্পাধক এএম পেয়ারু, সালাউদ্দিন লাতু, সদস্য ইউসুফ শিকদার, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মফিজ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, সাব্বির আহমেদ, নগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, বিএনপি নেতা হাজী মহসিন, আমিনুর রহমান মিয়া, দিদারুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ ফিরোজ আলম, নগর যুবদল নেতা মো. আলাউদ্দিন, মো. সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ ইদ্রিস, কোতোয়ালি থানা যুবদলের সদস্য সচিব মোহাম্মদ হাসান, কোতোয়ালি থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ রিমন, সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল সোনা মানিক প্রমুখ।