স্টাফ রিপোর্টার: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহার বাসিন্দা মরহুম শরীয়ত আলী মেম্বারের বড় ছেলে এম, হাসমত আলী বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির কর্ণফুলী উপজেলার কোম্পানী কমান্ডার। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক জাতীয় ভাবে ২ বার স্বর্ণপদক ও ১ বার “বাংলাদেশ আনসার সেবা পদক” প্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার। তৎকারণে, তার এলাকার গুটি কয়েক অসৎ লোক ইর্ষান্বিত হয়ে হাসমতসহ তার স্ত্রী, ছেলে মেয়ে এবং আত্মীয় স্বজনের মান সম্মান নষ্ট কিংবা জান-মালের ক্ষতি করার লক্ষ্যে, বিভিন্ন মিথ্যা অজুহাতে তার কয়েকজন ভাই বোনকে বে-আইনীভাবে বশে নিয়ে লেলিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় তার ভাই বোনেরা হাসমতের উক্ত শত্রু ভাবাপন্ন লোকদের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য, যেকোন সময় যেকোন উপায়ে হাসমতের বড় ধরনের ক্ষতি করিতে কিংবা করাইতে পারে মর্মে হাসমত আশংকা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য যে, হাসমতসহ সম্পত্তি বিক্রির অপরাপর ওয়ারিশগন বিগত ১লা ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং তারিখে সম্পাদিত রেজিষ্টার্ড দলিল নং ১৬৬৩/২২ মূলে, নিমপেক্স লিমিটেড এর পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়হান মোস্তাফিজ বরাবর ১৯.২১৩৪ শতক স্থাপনা বিহীন ভিটে ভুমি ৭৯,৪৫,০০০/= টাকা মূল্য ধার্যে দখল হস্তান্তর করেন। উপরোক্ত রেজিষ্টার্ড দলিলের ৯নং ক্রমিকে বিক্রেতাদের জমির হারাহারি মালিকানার বিবরণ স্পষ্ট উল্লেখ আছে। উক্ত দলিলে বর্ণিত টাকা চেকের মাধ্যমে এম. হাসমত আলী সম্পত্তি বিক্রেতা অর্থাৎ সকল দলিল দাতাদের পক্ষে দলিল গ্রহীতা হতে গ্রহন পূর্বক, প্রাপ্ত টাকা নিন্মলিখিত ভাবে দলিলে বর্ণিত সকল ওয়ারিশদের মধ্যে এম, হাসমত আলীর পরিচালিত অগ্রণী ব্যাংক কাজীর দেউরী শাখা, চট্টগ্রামের একাউন্ট হইতে চেকের মাধ্যমে যার যার প্রাপ্যাংশ প্রদান করিয়া, কয়েক জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং তারিখে, ১০০/- টাকা মূল্যের ৩টি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প নং যথাক্রমে ০৫৮৫৬১৭, ০৫৮৫৬১৮, ০৫৮৫৬১৯-এ টাকা আদান-প্রদানের বিষয়ে, একখানা লিখিত চুক্তিপত্র সম্পাদন হয়। উপরোক্ত দলিল দাতা যথাক্রমে আবদুচ সোবাহান জিন্নাত ০.১২৫ শতক সম্পত্তি বিক্রির ৬২,৫০০/= (বাষট্টি হাজার পাঁচশত) টাকা, আকবর আলী ২.০০৬ শতক সম্পত্তি বিক্রির ১০,০০,০০০/= (দশ লক্ষ) টাকা, ইছমত আলী ২.১২৫ শতক সম্পত্তি বিক্রির ১০,৬২,৫০০/=(দশ লক্ষ বাষট্টি হাজার পাঁচশত) টাকা, ছালামত আলী ২.৫০০৬ শতক সম্পত্তি বিক্রির ১২,৫০,০০০/= (বার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা, মনোয়ারা বেগম প্রঃ নুর তাজ বেগম ১.২৫০৩ শতক সম্পত্তি বিক্রির ৬,২৫,০০০/= (ছয় লক্ষ পঁচিশ হাজার) টাকা, নিলুয়ারা বেগম প্রঃ মিনু আরা বেগম ১.২৫০৩ শতক সম্পত্তি বিক্রির ৬,২৫,০০০/= (ছয় লক্ষ পঁচিশ হাজার) টাকা, জাহানারা বেগম ০.০৬২৫ শতক সম্পত্তি বিক্রির ৩১,৫০০/=(একত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকা, মরহুমা ছেনোয়ারা বেগমের ওয়ারিশদের পক্ষে তার পুত্র সাদ্দাম হোসেন ০.০৪৬৯ শতক ও স্বামী জেবল হোসেনের ০.০১৫৬ শতক সম্পত্তি বিক্রির ৩১,৫০০/=(এক ত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকাসহ সর্বমোট =৪৬,৮৮,০০০/= টাকা গ্রহণ করে।
চুক্তিপত্রের ২য় পাতায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, “ভবিষ্যতে উপরোক্ত দলিলে বর্ণিত সম্পত্তি ও টাকার বিষয়ে, দলিল গ্রহীতা এবং দলিল গ্রহীতা থেকে তাদের পক্ষে চেক গ্রহণকারী এম. হাসমত আলী কিংবা তাদের ওয়ারিশ থেকে কোন টাকা পয়সা দাবী করিবেনা, করিলে কিংবা করাইলে তাহা সর্বাদালতে সর্বকালে বেআইনী মর্মে অগ্রাহ্য হইবে এবং টাকা গ্রহণকারী ওয়ারিশ কিংবা তাদের পরবর্তী ওয়ারিশগণ দায়ী থাকিবে।” এরপরেও উপরোক্ত টাকা গ্রহণকারী ব্যক্তিগন অজ্ঞাত কারণে, তাদের উপরোক্ত প্রাপ্যাংশ থেকে আরো বেশী টাকা, বে-আইনীভাবে দাবী করতঃ হাসমত, হাসমতের স্ত্রী, ছেলে-মেয়ের মান সম্মানের ক্ষতি করার উপর্যুপরি “অপরাধ জনক ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান” করিলে, এম, হাসমত আলী কমান্ডার এক প্রকার বাধ্য হয়ে বিগত ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং তারিখে উপরোল্লিখিত বিষয়ে “ভবিষ্যতে আইনগত সূত্র হিসেবে প্রয়োগ করার নিমিত্তে” মেট্টোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট, ৬ষ্ট আদালত, চট্টগ্রামে স্পেশাল ডায়রী (নং ২৮) করেন মর্মে জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিকলবাহা এলাকার কয়েকজন লোক জানায় যে, আবদুচ সোবহান জিন্নাত নিজেকে কখনো আনসার কমান্ডার, কখনো ব্যবসায়ী, কখনো পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। মানুষকে ঠকানোর মাধ্যমেও টাকা উপার্জন করে। তার নেতৃত্বে গুটি কয়েক অসৎ লোক এলাকার পরিবেশ নষ্ট করতে চায়। সোবহান তার অপরাপর ভাই বোনকে হাসমতের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে, স্বার্থ সিদ্ধি করতে চায়। উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, সোবহানসহ তার ভাইয়েরা তাদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.