রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৭ই মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

অফসাইড বিতর্কে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনাল, তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক: কোপা আমেরিকায় জয় দিয়ে ২৮ বছর পর শিরোপার খরা ঘোচাল আর্জেন্টিনা। রিও দে জেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে রোববার ১-০ গোলের ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে কোপা আমেরিকার শিরোপার স্বাদ নিল লিওনেল স্কালোনির দল।

এদিকে শিরোপা জয়ের পরপরই বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতেছেন আর্জেন্টিনা সমর্থকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিয় দলকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন তারা। কঠোর লকডাউনেও রাস্তায় মিছিল বের করার ঘটনাও ঘটেছে।

পাশাপাশি হতাশাগ্রস্ত ব্রাজিল সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ট্রল-মিমের বন্যা বইছে। এমন পরিস্থিতিতে এ হারকে মানতে পারছেন না হলুদ জার্সির সমর্থকরা। তাদের অভিযোগ, রিচার্লিসনের গোলটি অফসাইডে বাতিল না হলে ফলাফল অন্যরকমও হতে পারত। ১-১ সমতায় ম্যাচ টাইব্রেকারেও নিষ্পত্তি হতে পারত। অফসাইডের মারপ্যাঁচে পড়েই কাপ হাতছাড়া হয়েছে নেইমারদের।

ম্যাচ শেষে ওই অফসাইড বিতর্কে তোলপাড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। অনেকের মনে একটি প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে, আসলেই কি সেটা অফসাইড ছিল?

বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে। অবশ্য ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ হবে আর বিতর্ক থাকবে না সেটা কী করে হয়!

ম্যাচে ২২ মিনিটের মাথায় মাঝমাঠ থেকে ডি মারিয়ার উদ্দেশ্যে উড়ো পাস দেন দি পল। তার দৌড়ে সেটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ব্রাজিল গোলরক্ষক এদারসনের মাথার উপর দিয়ে তা জালে জড়িয়ে দেন পিএসজি তারকা।

দ্বিতীয়ার্ধে ৫২ মিনিটের মাথায় কাঙ্ক্ষিত সমতাসূচক গোলটি পায় ব্রাজিল। প্রায় মাঝমাঠ থেকে থ্রু বল এগিয়ে দিয়েছিলেন লুকাস পাকুয়েতা। সেই বল ধরে বক্সে ঢুকে মার্তিনেজকে পরাস্ত করে বল জালেও জড়ান তিনি। কিন্তু উল্লাস করার আগেই অফসাইডের পতাকা তুলেন রেফারি। উদযাপন থেমে যায় ব্রাজিলের।

অনেকের দাবি, অফসাইডের কারণে রিচার্লিসনের গোল বাতিল হলে আর্জেন্টিনার গোলটিও সেই নিয়মে বাতিল হওয়ার যোগ্য। ডি মারিয়াও অফসাইড স্পটে ছিলেন বলে জোর দাবি ব্রাজিল সমর্থকদের। কিন্তু রেফারি দুই দলের বেলায় দুই রকম সিদ্ধান্ত দিলেন। যার বলি নেইমারের ব্রাজিল দল।

এ বিষয়ে সরল রেখা টেনে রিচার্লিসন ও ডি মারিয়ার অবস্থান চিহ্নিত করেছেন অনেকে।

কারো মতে, বলে পা ছোঁয়ানোর আগেই সেই সরল রেখা পেরিয়ে গেছেন ডি মারিয়া। অর্থাৎ বল শূন্যে ভাসার আগে ব্রাজিলের সব খেলোয়াড়দের পেছনে ফেলেছেন ডি মারিয়া। সেই অর্থে তিনিও অফসাইড।

কিন্তু বিষয়টির বিরোধিতা করে আর্জেন্টিনা সমর্থকদের বক্তব্য- বলে ডি পল পা ছোঁয়ার আগে অফসাইড লাইনে যাননি ডি মারিয়া।

এ নিয়ে যতই তর্ক-বিতর্ক হোক ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা একমতে আসবেন কিনা তা বলা মুশকিল। তবে দিন শেষে মাঠের যোদ্ধাদের সব মেনে নিতেই দেখা গেছে। তর্কযুদ্ধে না গিয়ে একে-অপরকে আলিঙ্গন করেছেন। মেসির পাশে বসে ছবি তুলেছেন।

অফসাইড বিষয়ে নিয়ম কী বলে?

২০১৫ সালে নিয়ম করা হয়েছিল, অফসাইডে দাঁড়িয়ে থাকা কোনো খেলোয়াড় বল ছুঁলে তবেই ‘অফসাইড’ হতো। অর্থাৎ সেই খেলোয়াড় যদি বলের দিকে এগিয়ে যেতেন বা বল ধরার জন্য পা বাড়াতেন, কিন্তু বলে পা লাগাতেন না, তাহলে অফসাইড হতো না।

কিন্তু সম্প্রতি ফিফা জানিয়ে দিয়েছে, অফসাইড পজিশনে দাঁড়িয়ে কোনো খেলোয়াড় বলের দিকে এগোলে বা বল ধরার চেষ্টা করলেও রেফারি তার বাঁশি বাজাবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন নিয়মের ফলে গোলের সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print