প্রভাতী ডেস্ক : বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তোলার পর পরীমনির বিরুদ্ধে ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছে গুলশানের একটি ক্লাব। যা উদ্দেশ্যমূলক বলে দাবি করছেন এই চিত্রনায়িকা।
ক্লাবটির সভাপতি কে এম আলমগীর ইকবাল বুধবার(১৬ জুন) রাতে বলেছেন, গত ৮ জুন (মধ্যরাতে) ছেলে ও নারী সঙ্গীসহ ক্লাবটিতে গিয়ে কথা কাটাকাটির পর ভাঙচুর করেন পরীমনি। এ সময় পরী ও তার সঙ্গীরা ১৫টি গ্লাস, ৯টি ছাইদানি (অ্যাশট্রে) এবং বেশকিছু হাফ প্লেট ভাঙেন।
গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর কয়েক ঘণ্টার পর এদিন রাত ১০টার দিকে বনানীর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরী।
ভাঙচুরের ঘটনাটি পুরোপুরি অস্বীকার করে তিনি দাবি করেন, মূল ঘটনাকে অন্য দিকে ফোকাস করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে এমন অভিযোগ করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের পরীমনি বলেন, ‘আমি যদি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েই থাকি, তাহলে ৮ দিন পরে কেন সেটি মিডিয়ায় এলো। যদি ঘটাতাম, এতদিন কি কোনোভাবেই মিডিয়ায় আসতো না? আমি চাই, এটা নিয়েও তদন্ত হোক।’
পরী আরো বলেন, ‘বোট ক্লাবে আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার পরের ৪দিন কিন্তু আমি বসে থাকিনি। সবাইকে জানানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওরা কী করেছেন? আমি যদি কোনো অপরাধ করে থাকি, তাহলে তারা কেন এতদিন চুপ করে ছিলেন? আমি যখন অভিযোগ করলাম, নাসির ইউ মাহমুদের বিষয়টি সামনে আনলাম তখন অল কমিউনিটি ক্লাব এটি নিয়ে কথা বলছে। বুঝাই যাচ্ছে, আসল ঘটনার ফোকাস ঘুরানোর চেষ্টা। আপনারা দয়া করে মূল ঘটনা কোনোভাবেই এদিক-ওদিক হতে দেবেন না।’
তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলা হবে তার আভাস আগেই পেয়েছিলেন বলে জানান পরীমনি।
বললেন, ‘চারদিন ধরে অনেকেই তা আমাকে বলেছেন যে, এমন ব্লেইম দেওয়া হবে। আমিও সেটা বুঝেছিলাম। সত্যি, এবার মনে হচ্ছে আমি ক্লান্ত। আর পারছি না।’
সিসি ফুটেজ তো বলছে আপনি ওখানে গিয়েছিলেন, সাংবাদিকদের এমন কথার জবাবে পরীমনি বলেন, ‘গিয়েছিলাম, আমি তো অস্বীকার করছি না। কিন্তু অপ্রীতিকর কিছু ঘটাইনি। গিয়েছি যে, সেটা কিন্তু সিসি ফুটেজেই দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আমাকে যে ব্লেম করা হচ্ছে তা একেবারেই ভিত্তিহীন। একরকম আমার ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।’
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.