নিজস্ব প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানাধীন গন্ডামারা এলাকায় ৬০০ একর জমিতে এস আলমের নির্মাণাধীন কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে বিবাদের অন্যতম ব্যক্তিত্ব, আলোচিত বিএনপি নেতা ও গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লেয়াকত আলীকে গ্রেফতার করেছে নগরীর ডিবি পুলিশ। ২ বছর আগে গণ্ডামারা এলাকায় প্রস্তাবিত বেসরকারি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা, নাশকতা, অবৈধ অস্ত্র রাখাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ২২ টি মামলা রয়েছে বলে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম জানান, নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার রাতে নগরীর রেল স্টেশন এলাকা থেকে লেয়াকতকে গ্রেফতার করেছে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরদিন বুধবার দুপুরে লিয়াকতকে কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করে ডিবি পুলিশ।
কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন লিয়াকতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। এছাড়া তাকে কোতোয়ালী থানার ২টি বিস্ফোরণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরানের আদালতে হাজির করে লিয়াকতকে হেফাজতে চায় পুলিশ। আদালত রিমান্ড শুনানীর জন্য ৪ নভেম্বর তারিখ ধার্য করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এই ব্যাপারে বাঁশখালী থানার ওসি কামাল বলেন, লিয়াকতের বিরুদ্ধে খুন,অস্ত্র,আর্থিকসহ একাধিক মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে।এতোদিন তিনি পলাতক ছিলেন। সিএমপির ডিবি পুলিশ তাঁকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের বড়ঘোনায় ৬০০ একর জমিতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষের সংঘর্ষে চার জন নিহত হয়। এই মামলায় লিয়াকতকে আসামী করা হয়