রবিবার, ৮ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রবিবার, ৮ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রবিবার, ৮ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১১ই জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি

আপত্তিকর সম্পর্কের শাস্তি : জামালপুরের সেই ডিসির বেতন কমে অর্ধেকে !

প্রভাতী ডেস্ক : অফিসের একজন নারী পিয়নের সঙ্গে আপত্তিকর সম্পর্কে জড়ানোয় শাস্তি হিসাবে জামালপুরের সাবেক ডিসি আহমেদ কবীরের বেতন গ্রেড কমিয়ে দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। উপ-সচিব হিসাবে তিনি বর্তমানে ৫ম গ্রেডে বেতন পান। কিন্তু শাস্তির কারণে তিনি এখন ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী ৬ষ্ঠ গ্রেডের সর্বনিম্ন ধাপের বেতন পাবেন।

অর্থাৎ, সিনিয়র সহকারী সচিব পদোন্নতি পাওয়ার পর যে বেতন পান আহমেদ কবীর তাই পাবেন। তিনি উপসচিব পদে বহাল থাকলেও তার বেতন অর্ধেক কমে যাচ্ছে।

জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বুধবার রাতে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি যে অপরাধ করেছেন তা পুরো প্রশাসনকে কলঙ্কিত করেছে। তার পরিবার ও সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা ও সার্বিক বিষয় বিবেচনা করেই এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি আর কখনো পদোন্নতি পাবেন না। এই পদ থেকেই তাকে চাকরি থেকে বিদায় নিতে হবে। বেতনও প্রায় অর্ধেকে নেমে আসবে।’

জানা গেছে, কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ অনুযায়ী গুরুদণ্ড হিসাবে শাস্তির যে বিধান রাখা হয়েছে এগুলো হচ্ছে : নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অপসারণ, চাকরি থেকে বরখাস্তকরণ। সবচেয়ে কম দণ্ডের শাস্তিটি হচ্ছে নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ। সেটিই দেওয়া হয়েছে আহমেদ কবীরকে।

আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় তাকে শাস্তি দিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮-এর বিধি ৪(৩)(ক) মোতাবেক গুরুদণ্ড হিসাবে তিন বছরের জন্য নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ করা হলো। আহমেদ কবীর উপসচিব হিসাবে বর্তমানে ৫ম গ্রেডে বেতন পান।

শাস্তির কারণে এখন থেকে তিনি ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী ৬ষ্ঠ গ্রেডের সর্বনিম্ন ধাপের বেতন পাবেন। পঞ্চম গ্রেডে তার মূল বেতন প্রায় ৭০ হাজার টাকা। এখন তিনি মূল বেতন পাবেন ৩৫ হাজার টাকা। সঙ্গে সংগতিপূর্ণ অন্যান্য ভাতা-সুবিধা পাবেন।

জামালপুরের ডিসি থাকাকালে অফিসের অফিস সহায়ক সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা নামে একজন নারীর সঙ্গে আহমেদ কবীরের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বিষয়টি জানাজানির পর ব্যাপকভাবে সমালোচনার মুখে তাকে ডিসি পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print