
প্রভাতী ডেস্ক : মহামারীর কারণে অনেকটা স্থবির দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সচল করতে মঙ্গলবার দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। সফরের প্রথম দিন সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সোনারগাঁও হোটেলে মধ্যাহ্নভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করা হয়। বৈঠকে সীমান্ত হত্যা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা।
বৈঠক শেষে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘অমীমাংসিত বিভিন্ন বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। সীমান্ত হত্যা বেড়ে যাওয়ায় আমরা ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। সীমান্তে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্যে তারা বিএসএফকে নির্দেশনা দেবে। আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনা বিশেষ করে তাবলিগ জামাতের এখনো ১০০ জন ভারতে আটকে আছেন। তাদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে ভারত পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করবে। ওই বছরে বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কেরও ৫০ বছর পূর্তি হবে। বিশ্বের নির্বাচিত কয়েকটি দেশের রাজধানীতে দুই দেশের দূতাবাস যৌথভাবে কর্মসূচি পালন করবে।
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে সহযোগিতা সচল রাখতে স্থলপথ খুলে দেয়া হবে। ট্রান্সশিপমেন্টের কাজগুলো চলবে। ভারতের ঋণের সহযোগিতা প্রকল্পগুলোতেও কোভিডের কারণে ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছিল। সেগুলো এগিয়ে নিতে পর্যালোচনা করা হবে। দু’দেশের মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য এয়ার বাবল চালু করতে ভারত প্রস্তাব দিয়েছে। এতে দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে বিমান চলাচল করবে। ভারতের প্রস্তাবটি আমরা সক্রিয় বিবেচনা করছি। এয়ার বাবল চালু হলে চিকিৎসা ও ব্যবসার জন্যে বিমানের মাধ্যমে দু’দেশে চলাচল সম্ভব হবে।’
এদিকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের দেড় ঘণ্টার বৈঠক উষ্ণ, বন্ধুত্বপূর্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বর্তমানে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর বন্ধ রেখেছে। ভারতীয় পক্ষকে এ স্থলবন্দর চালুর অনুরোধ জানানো হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ‘এয়ার বাবল’ চালু হলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান।