Search

শনিবার, ১৩ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ১৩ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ১৩ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি

বাঁশখালীতে ট্রলির দাপটে সড়কের নীরব কান্না !

প্রতীকী ছবি

মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন,বাঁশখালী প্রতিনিধি : বাঁশখালীর রাস্তার জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে সর্বনাশা ‘ট্রলি’। ‘ট্রলি’ নামের অবৈধ গাড়িগুলো লবণ পরিবহনের কাজে ব্যবহার করেন লবণ চাষীরা। একটি রাস্তা সংস্কারের ৩ মাস অতিবাহিত না হতেই জরাজীর্ণ হয়ে যায় ট্রলির কারণে। পুরো ১২ মাসই থাকে ট্রলির দাপট। এই ট্রলি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বেকায়দায় পড়েছেন। রাস্তা মেরামত করেন জনপ্রতিনিধিরা আর ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়ে যায় ট্রলি। মেরামত করার অল্প দিনেই সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটে কোনো না কোনো দূর্ঘটনা।
পথচারীদের যাতায়াতে ব্যাঘাত ঘটে। অনেক সময় গর্তে সিএনজি গাড়ি আটকে গিয়ে দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়। যদিও বা এ নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই।

বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া,পশ্চিম পুঁইছড়ি, শেখেরখীল,সরল,গন্ডামারা ও খানখানাবাদ ইউনিয়নে ট্রলির চলাচল সবচেয়ে বেশি।

অপরদিকে লবণ বোঝাই ট্রলি থেকে লবনাক্ত পানি পড়ে সড়ক পিছলে যায়। এতে করে দূর্ঘটনার শংকাও থাকে। বাঁশখালীতে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় ট্রলির দাপট থাকলেও সেটা দেখার কেউ নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ট্রলি চালকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। এটা নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এই অবৈধ গাড়িগুলো স্থানীয় জনসাধারণের চোখের বালিতে পরিণত হয়েছে। রাস্তা টেকসই ও মজবুত রাখার স্বার্থেই ট্রলি বন্ধ করা উচিত বলে মনে করেন সচেতন মহল। এই গাড়িগুলো বর্জন করে বিকল্প ব্যবস্থা তথা নৌকা নিয়ে লবণ পরিবহন করা যেতে পারে বলে মতামত ব্যক্ত করেন স্থানীয়রা।

এব্যাপারে ছনুয়া খুদুকখালী গ্রামের আমিনুল হক নামের এক ব্যক্তি এই প্রতিবেদককে বলেন, “আমাদের ছনুয়ায় এই গাড়িগুলো চলাচল করার কারণে রাস্তা বেশি দিন টিকে না। ফলে আমাদেরকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। আমি ছনুয়ার চেয়ারম্যানের কাছে ট্রলি বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।”

রাস্তা খেকো ট্রলির কারণে বাঁশখালীর মানুষের দূর্ভোগের শেষ নেই। দীর্ঘদিন যাবত লবণ পরিবহনে ট্রলির ব্যবহারের কারণে রাস্তা খনাখন্দকে ভরে যাচ্ছে। যথাক্রমে; ছনুয়া কাদেরিয়া সড়ক, আশরফ আলী সড়ক,খানখানাবাদ আবদুল হাকিম সড়ক,ছনুয়া-শেখেরখীল সড়ক ও ছনুয়া-পুঁইছড়ি সড়কে বেহাল দশা বিরাজ করছে।

বাঁশখালীর রাস্তার জন্য অভিশাপ হিসেবে খ্যাত ট্রলি বন্ধ করতে বাঁশখালীর এমপি আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print