Search

সোমবার, ১৫ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সোমবার, ১৫ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সোমবার, ১৫ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি

বয়স ৬৭ বছর হওয়ায় আগামী ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতির বিদায়ী অভিভাষণ ১৪ ডিসেম্বর

গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের পঞ্চবিংশতিতম প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ আগামী ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছেন। এর আগে দেশের বিচারকদের উদ্দেশে বিদায়ী অভিভাষণ দেবেন আগামী ১৪ ডিসেম্বর।

বৃহস্পতিবার(২৭ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

তার বয়স ৬৭ বছর হওয়ায় আগামী ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন প্রধান বিচারপতি। সংবিধান অনুযায়ী এ বয়সসীমা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে পারেন প্রধান বিচারপতি।

দেশের বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অবসরের আগে সৈয়দ রেফাত আহমেদের এটি সবশেষ অভিভাষণ বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

এতে বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর রোববার বিকাল ৩টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে দেশের জেলা আদালতগুলোতে কর্মরত উচ্চ পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনের আয়োজন করা হয়েছে। ওই অধিবেশনে প্রধান বিচারপতি দেশের সব জেলা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে ‘বিদায়ী অভিভাষণ’ দেবেন।

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের পঞ্চবিংশতিতম প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ। ১০ অগাস্ট হাই কোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ এই বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পরদিন তিনি শপথ নেন।

দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগের সংস্কার ও বিচার বিভাগের সার্বিক উন্নয়নয়ে যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছিলেন সেটির বাস্তবায়নে গত দেড় বছরে গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার বিষয়ে বিদায়ী অভিভাষণে আলোকপাত করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

“বিশেষ করে, চলমান বিচার বিভাগীয় সংস্কার কার্যক্রম তথা প্রযুক্তিনির্ভর সেবা সম্প্রসারণ, বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন, আদালতের সার্বিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, অধস্তন আদালতের বিচারকগণের দক্ষতা বৃদ্ধি, বিচারপ্রার্থী জনগণের সেবাপ্রাপ্তি সহজীকরণ এবং মামলাজট নিরসনের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন।”

এর আগে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধান বিচারপতি ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বিচার বিভাগের সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন।

ওই রোডম্যাপে তিনি বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন, বিচার বিভাগে দুর্নীতি প্রতিরোধসহ বিভিন্ন সংস্কারের রূপরেখা তুলে ধরেন।

তার ঘোষিত সেই রোডম্যাপ রূপরেখাকে ঘিরেই গত দেড় বছরে বিচার বিভাগে বিভিন্নমুখী সংস্কার সাধিত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

দীর্ঘদিনের দাবির পর অবশেষে ২০ নভেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠা সরকারের অনুমোদন পায়। আলাদা হলে এ সচিবালয় পরিচালিত হবে উচ্চ আদালয়ের অধীনে। ওইদিন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ প্রস্তাবের নীতিগত ও চূড়ান্ত দেওয়া হয়।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print