
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সরকারবিরোধী লংমার্চ চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান।
ডন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদের আল্লাহ হো চকের কাছে ইমরান খানের কন্টেইনারে গুলি চালায় অজ্ঞাত হামলাকারীরা। এতে তার পায়ে তিনটি গুলি লেগেছে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলে জানা গেছে।
পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরীর বরাতে ডনের খবরে বলা হয়, হামলায় ইমরান খান ছাড়াও আরো ২জন আহত হয়েছেন। তারা হলেন সিনেটর ফয়সাল জাভেদ এবং আহমেদ চাত্তা। এ ঘটনায় এক জনকে আটক করা হয়েছে। তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন।
নির্বাচনের দাবিতে দেশজুড়ে লংমার্চ পালনের অংশ হিসেবে বুধবার ওয়াজিরাবাদে সমাবেশ করছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানেই অজ্ঞাত বন্দুকধারীর হামলার মুখে পড়েন তিনি।
একাধিক টেলিভিশন চ্যানেল পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা ইমরান খানকে দেখা গেছে। নিরাপত্তা টিমের সহযোগিতায় তাকে কন্টেইনার থেকে একটি গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
গুলি করার কারণ জানালেন হামলাকারী:
ঘটনার পর হামলাকারীকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তিনি হামলার বিষয়টি স্বীকার করেন।
জনগণকে বিভ্রান্ত করছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান, বিষয়টি মেনে নিতে না পারায় তার ওপর হামলা করেন বলে জানিয়েছেন সন্দেহভাজন ব্যক্তি। পিটিআই প্রধানকে হত্যার উদ্দেশ্যেই তিনি গুলি চালিয়েছিলেন। সন্দেহভাজন ব্যক্তি বলেন, আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি ইমরান খানকে হত্যা করার। শুধু তিনিই আমার টার্গেট ছিলেন, অন্য কেউ নন। ইমরান খান লাহোর ছেড়ে যাওয়ার পর তাকে আমি হত্যার পরিকল্পনা করেছিলাম। এ সময় তার সঙ্গে কোনো সঙ্গী আছে কিনা জানতে চাওয়া হয়। তিনি জানান, তার সঙ্গে দ্বিতীয় কেউ ছিলো না। তিনি একাই এ হত্যাকাণ্ড চালাতে চেয়েছিলেন।
সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।