বুধবার, ২রা জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বুধবার, ২রা জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বুধবার, ২রা জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৬ই মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

চট্টগ্রামে বায়ুদূষণ করায় ৫ শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম নগরীতে ইস্পাত কারখানার এয়ার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (এটিপি) বন্ধ রেখে অতিরিক্ত ধোঁয়া ছেড়ে বায়ু দূষণ ও অপরিশোধিত তরল বর্জ্য ফেলে পরিবেশের ক্ষতিসাধন করায় ৫ প্রতিষ্ঠানকে ১৮ লাখ ২৫ হাজার ৫২০ টাকা ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, এসব প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন যাবত পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া তাদের উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) শুনানি শেষে এই ক্ষতিপূরণ আরোপ করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী।

এর আগে, মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) নগরীর নাসিরাবাদ এলাকায় অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর। অভিযানকালে বায়ু দূষণ, অপরিশোধিত তরল বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দূষণ ও পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে এনফোর্সমেন্ট নোটিশ প্রদান করা হয়।

মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী বলেন, ইস্পাত কারখানায় পণ্য তৈরির সময় এয়ার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (এটিপি) বন্ধ রেখে অতিরিক্ত ধোঁয়া ছেড়ে পরিবেশ দূষণ করায় নগরীর নাসিরাবাদ এলাকার বেনজ ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফয়সাল ইসলামকে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হয়। পাশাপাশি একই অপরাধে নাসিরাবাদের সিএসএস কর্পোরেশন (বিডি) লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজুর খোরশেদ জিলানীকে ৫ লাখ ৪০ হাজার এবং ইসলাম স্টিলকে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।

এদিকে ইটিপি বন্ধ রেখে বাইপাস লাইনের মাধ্যমে অপরিশোধিত তরল বর্জ্য ছেড়ে পরিবেশের ক্ষতিসাধন করায় নগরের নাসিরাবাদ এলাকার পপুলার ওয়াশিং কারখানার মালিক মোশারেফ হোসেনকে ৮৬ হাজার ৪শ’ টাকা ও একই অপরাধে মফিজ উদ্দিন আহমদের মালিকানাধীন হাজী ওয়াশিংকে ৬৯ হাজার ১২০ টাকা ক্ষতিপূরণ আরোপ করে পরিবেশ অধিদপ্তর।

তিনি আরো বলেন, ৫ প্রতিষ্ঠানকে ১৮ লাখ ২৫ হাজার ৫২০ টাকা ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হয়েছে। এরমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ১২ লাখ ৮৫ হাজার ৫শ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানসমূহকে এয়ার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট চালু করতে বলা হয়েছে। এজন্য তাদের আগামী ১ মাস সময় দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে তারা তাদের পরিবেশগত ছাড়পত্র সংগ্রহসহ এটিপি চালু করতে না পারলে তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নুরুল্লাহ নুরী আরো বলেন, আরেকটি প্রতিষ্ঠানের আরোপকৃত ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানটি তা আদায়ে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print